পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল

আর কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। কারণ পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণে সক্ষম এক হরমোনের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। আর ওই হরমোনের ব্যবহার করে এরই মধ্যে আবিষ্কার হয়েছে নতুন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল।

বিস্তারিত…

বাংলাদেশে জোড়া মাথার দুটো শিশুকে আলাদা করছেন ডাক্তাররা…

বাংলাদেশের পাবনায় কনজয়েন্ড বা মাথা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেয়া দুটি শিশুর অপারেশনে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে।

ডাক্তাররা বলছেন, ১৮-মাস বয়সী রাবেয়া ও রোকাইয়ার মাথায় যে যুক্ত রক্তনালী ছিল সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যাতে দুজনের জন্য আলাদা রক্তনালী চালু হয়।

শিশু দুটি ভাল আছে এবং তাদের জ্ঞানও ফিরেছে বলে তারা বলছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, এখন তারা শিশু দুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। আলাদা রক্তনালী তৈরি হলে তিনমাস পরে আবার একটি সার্জারি করা হতে পারে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন শফিকুল ইসলাম বলছেন, ”পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আমরা দেখেছি, তাদের মূল ধমনী বা শিরার পাশে কিছু বিকল্প শিরা আছে। আমরা আমরা সেটি বন্ধ করে দিয়েছি, ফলে বিকল্প শিরাগুলি আস্তে আস্তে সচল হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। এভাবে আস্তে আস্তে তাদের দুজনের মাথার আলাদা কাঠামো তৈরি হবে। এরপর আমরা সার্জারি করে দুজনকে আলাদা করতে পারবো।”

তিনি বলছেন, সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সব মিলিয়ে মাস ছয়েক সময় লাগতে পারে।

সারা বিশ্বেই দুর্লভ এরকম জোড়া লাগানো শিশু দুটিকে পুরোপুরি আলাদা করতে আরও সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার পাঁচ ঘণ্টা ধরে এই অপারেশন হয়। এতে অংশ নেন হাঙ্গেরি থেকে আসা দুই বিশেষজ্ঞ সার্জন।

শিশু দুটির বাবা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম জানান, অপারেশনের পর শিশুদুটির জ্ঞান ফিরেছে এবং দুজনেই সুস্থ আছে।

তিনি জানান, মাথা একসাথে লাগানো থাকলেও, বাড়িতে দুজনেই স্বাভাবিক হাশিখুশী থাকে। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া বা কথাও বলে। তবে রাবেয়া একটু বেশি কথা বলে আর রোকাইয়া একটু কম।

শিশু দুটির জন্ম পাবনা জেলার চাটমোহরে।

বাংলাদেশে এর আগে পেট, বুক বা শরীরের পেছনের অংশ জোড়া লাগানো শিশুর আলাদা করার অপারেশন হলেও, মাথা জোড়া লাগানো শিশু আলাদা করার প্রচেষ্টা এবারই প্রথম বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এর আগে তোফা ও তহুরা নামে দুটি কনজয়েন্ড শিশুর সফল চিকিৎসার খবর শুনে রাবেয়া ও রোকাইয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম শিশু দুটিকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

বাংলাদেশি ওষুধে ব্রিটিশ নারীর রোগমুক্তি

বিশ্বের অনেক দেশে অনলাইনে ওষুধ কেনা অনেকটা জনপ্রিয় হয়েছে। প্রেসকিপশন না পাওয়া, ডাক্তার দেখাতে না পারা, বিশেষ করে ওষুধের দাম বেশি হওয়ার কারণে অনলাইনে ওষুধ কিনছেন অনেকে। ব্রিটিশ এক নারীও কম দামে ওষুধ কিনতে অনলাইনের ওপর নির্ভর করেছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ‘হেপাটাইটিস সি’ নিরাময়ের ওষুধ কিনেছিলেন জো শারাম নামে এক ব্রিটিশ নারী। এনএইচএস ইংল্যান্ডের তৈরি ওষুধ সেখানে সহজে পাওয়া গেলেও অনেক উচ্চমূল্যের ওষুধ হওয়ায় এগুলো শুধু বেশি অসুস্থ রোগীদের দেওয়া হয়ে থাকে। বিবিসির এক রিপোর্টে এ সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।বিস্তারিত…

সাজা মওকুফের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেবার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী জানিয়েছেন, বৈঠকে কয়েকদিনের ধর্মঘটে দেশের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হবার ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।বিস্তারিত…

‘বৃক্ষমানব’ রোগাক্রান্ত সাহানার সফল অস্ত্রোপচার

বাংলাদেশে বিরল ‘বৃক্ষমানব’ রোগে আক্রান্ত ১০ বছরের কন্যাশিশু সাহানা খাতুনের অস্ত্রোপচার হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে।

সাহানাই বাংলাদেশের প্রথম নারী যে বিরল এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। সাহানা ভালো আছে”।

সাহানার আর কোনও অস্ত্রোপচার লাগবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ডা: সেন।বিস্তারিত…

অতিমাত্রায় প্যারাসিটামল সেবন ঝুঁকিপূর্ণ

[আমাদের দেশে ফার্মেসিগুলো থেকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনেক ওষুধ কেনা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় প্যারাসিটামল বা এই গ্রুপের অন্য ওষুধ। শিশু কিংবা বড়দের জ্বর, মাথাব্যথা, গা-ব্যথা এসবের জন্য প্রথম পর্যায়ে কেউই ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না। নিজেরাই প্যারাসিটামল বা এই গ্রুপের অন্য নামের ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে ডোজ শুরু করে। তবে, না জেনে ভুল মাত্রায় কিংবা অতিমাত্রায় এ ওষুধ খেলে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা আরো বেশি। এসব বিষয়ে জানাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞ কামরুন নাহার লুনা।]

শিশু বিশেষজ্ঞ কামরুন নাহার লুনা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার প্র্যাকটিস চলাকালীন সময়ের একটি অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। স্মৃতির পাতা থেকে তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর আগের কথা। সকালে স্যারের(সিনিয়র ডাক্তার) রাউন্ডের আগে পুরনো রোগীগুলো দেখে নিচ্ছিলাম। এ সময় স্যার ডেকে পাঠালেন। দৌড়ে গেলাম স্যারের রুমে। দেখি একটা মেডিকেল স্টুডেন্ট কাঁদো কাঁদো মুখে দাঁড়ানো আর তার মা একটা বাচ্চা কোলে চেয়ারে বসা। সে তার ৬ মাস বয়সি ৮ কেজি ওজনের বাচ্চাটাকে ৩ চামচ প্যারাসিটামল ড্রপ খাইয়েছে গত ২০ ঘন্টায়। স্যার মেয়েটাকে মৃদু বকার চেষ্টা করছেন। আমার প্রফেসর খুব নরম মনের মানুষ, কাউকে তেমন বকতে পারেন না। আমি যদিও তখন তার নব্য ট্রেইনি, খুব আদর করেন আমাকে, ভরসাও করেন আমার উপর। বললেন লুনা দেখতো এই মেয়ের কাণ্ড প্যারাসিটামল ড্রপকে চামচে করে খাইয়েছে। ডোজটা হিসাব করো, টক্সিক ডোজে পড়লে এন্টিডটটা শুরু করে দাও।বিস্তারিত…

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার ওষুধ নেই সরকারি হাসপাতালে

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার ওষুধ (অ্যান্টিভেনাম) নেই। কেন্দ্রীয় ঔষধ ভান্ডারেও এই ওষুধের মজুত নেই। যা আছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ। কেন্দ্রীয়ভাবে কেনার কোনো উদ্যোগও নেই। সংকট মোকাবিলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধই ব্যবহারের কথা বলছেন একাধিক চিকিৎসক।বিস্তারিত…

শিরোনাম