রেকর্ডের অপেক্ষায় তারা
রবিবার থেকে ভারতের দেরাদুনে পর্দা উঠতে যাচ্ছে সফরকারী বাংলাদেশ ও স্বাগতিক আফগানিস্তানের মধ্যকার তিনম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের। দু’দলের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে রেকর্ড গড়ার অপেক্ষায় দু’দলের একাধিক ক্রিকেটার। ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই কাঙ্ক্ষিত এসব মাইলফলকগুলো স্পর্শ করে নতুন রেকর্ড গড়তে পারেন ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যখন টস করতে নামবেন তখনই মুশফিকুর রহিমের (৩১২ ম্যাচ) দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ ম্যাচে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মাইলফলক স্পর্শ করবেন। পাশাপাশি তখন আরও একটি মাইলফলক স্পর্শের অপেক্ষায় তখন প্রহর গোনা শুরু হয়ে যাবে তার।
আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র দুটি উইকেট নিতে পারলেই নতুন রেকর্ডে নাম লেখাবেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও পাকিস্তানের শফীদ আফ্রিদির পর মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৫০০ উইকেট ও ১০ হাজার রান করার ‘বিরল’ অর্জনের অধিকারী হবেন সাকিব। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এ মাইলফলক স্পর্শ করলেও এক দিক দিয়ে ঠিকই ক্যালিস ও আফ্রিদিকে ছাপিয়ে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম সবার উপরে তুলে আনবেন তিনি। আর তা হলো সবচেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে এ অর্জনটির মালিক হওয়া।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ইতোমধ্যে বিদায় জানানো দুই ক্রিকেটার- ক্যালিস ও আফ্রিদি কাঙ্ক্ষিত এ অর্জনটি পেতে খেলেছিলেন যথাক্রমে ৪২০ ও ৪৭৭টি ম্যাচ। যার ফলে প্রথম ম্যাচে দুটি উইকেট নিতে পারলেই তাদের চেয়ে ১০০ এর চেয়েও কম ম্যাচ খেলে দ্রুততম সময়ে অনন্য রেকর্ডের জন্ম দিবেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ৩১-বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার।
অন্যদিকে, আফগান শিবিরেও রয়েছে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানোর সুযোগ। এ অপেক্ষায় আফগান দলের দুই প্রতিভাবান ও কার্যকরী ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ৩৯ রান করতে পারলে মোহাম্মদ শাহজাদের ( ১৮১৬) পর দ্বিতীয় আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১,০০০ রান পূর্ণ করবেন মোহাম্মদ নবী। যা তাকে হাজারি ক্লাবে প্রবেশের পাশাপাশি নিয়ে যাবে ‘এলিট ক্লাবে’ও।
শহীদ আফ্রিদি, সাকিব আল হাসান, থিসারা পেরেরা ও ডোয়াইন ব্রাভোর পর পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫০ উইকেটের সাথে ১,০০০ রান করার বিশেষ ‘এলিট ক্লাবে’ নাম লেখাবেন নবি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে মাত্র একটি উইকেট নিতে পারলেই সময়ের ব্যবধানে (২ বছর ২২০ দিন) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়বেন আফগান লেগি রশিদ খান। তাছাড়া সিরিজে ৩টি উইকেট নিতে পারলে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। আর তা হবে মোহাম্মদ নবীর (৬১ উইকেট) পর দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেট শিকারের মাইলফলক।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩০টি ম্যাচ খেলা রশিদ খানের ঝুঁলিতে রয়েছে ৪৯টি উইকেট। যার ৪৭টি এসেছে আফগানিস্তানের হয়ে খেলার সময় আর বাকি দুটি উইকেট এসেছে ২০১৭ সালে হারিকেনে বিধ্বস্ত স্টেডিয়ামের তহবিল সংগ্রহের ম্যাচে ‘আইসিসি বিশ্ব একাদশের’ হয়ে। উইন্ডিজের বিপক্ষে এ দুটি উইকেট লাভ করেন ১৯ বছরের তরুণ এ ব্যাটসম্যান।