বিশ্বের প্রথম জিরো-কার্বন ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সউদী

Saudi telco Zain KSA claim to have launched the world’s first zero-carbon 5G

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) নির্দেশে বিশ্বের প্রথম জিরো-কার্বন ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সউদী আরব। এটি সউদী আরবে দ্য রেড সি এবং আমালা প্রকল্পের বিকাশকারী দ্য রেড সি গ্লোবালের (আরএসজি) জন্য আরেকটি যুগান্তকারী বিজয়।

মাল্টি-প্রজেক্ট ডেভেলপার টেলিকম কোম্পানী জাইন কেএসএ-এর সাথে যৌথভাবে দ্য রেড সি-তে সিক্স সেন্সস সাউদার্ন ডিউনস রিসোর্টে বিশ্বের প্রথম জিরো-কার্বন ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। ৬০ হাজার সৌর প্যানেল থেকে ১০০ শতাংশ পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এটি চালিত হবে। পিআইএফ-এর মালিকানাধীন প্রকল্পটি সেখানে পর্যটনের চাহিদা আরও বিকশিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর স্থায়িত্ব হবে দীর্ঘস্থায়ী। এ সুবিধাটি দৈনিক ৬০০ টন হাইড্রোজেন উৎপাদন করবে, যা বার্ষিক ৫০ লাখ টন কার্বন ডাই-অস্কাইড সাশ্রয় করবে।

https://www.youtube.com/watch?v=sVCP-IjUX14&list=PLSCMPm7q1k_6rou1xyWFlZXTQnbipKXFS&index=2

ফ্রান্সে স্কুলে আবায়া নিষিদ্ধ

 

France ban the wearing of abayas in schools

ফ্রান্সের সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আবায়া পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে এ নিষেধাজ্ঞা। সোমবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল টিএফওয়ানকে বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলে আর আবায়া পরা যাবে না।’ তিনি জানান, গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুল পুনরায় খোলার আগেই জাতীয় পর্যায়ে সবার কাছে তিনি নতুন নিয়মটি সুস্পষ্ট করবেন।

ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কের পর দেশটির শিক্ষামন্ত্রী নতুন এ সিদ্ধান্ত নিলেন। সম্প্রতি ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। ডানপন্থি দলগুলো মুসলিম নারীদের এ পোশাক নিষিদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিলেও বামপন্থি দলগুলো এ ক্ষেত্রে মুসলিম নারী ও মেয়েদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে ২০০৪ সাল থেকে মেয়েদের মাথায় স্কার্ফ বা হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালে দেশটিতে নিকাব (পুরো মুখ ঢেকে রাখা বোরকা) পরা নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় সরকারের এমন সি

দ্ধান্তে দেশটির ৫০ লাখের বেশী মুসলিম সম্প্রদায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছিল।

উনিশ শতক থেকেই ফ্রান্সে সরকারি স্কুল ও ভবনগুলোতে ধর্মীয় প্রতীক বা নিদর্শন ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কয়েকটি মুসলিম সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্থা ফ্রেন্স কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) জানিয়েছে, কেবল পোশাক পরা ‘কোনো ধর্মীয় প্রতীক হতে পারে না।’

অপুষ্টিতে ভুগছে মালির ১০ লক্ষাধিক শিশু

আফ্রিকার দেশ মালিতে ১০ লাখের বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, যার মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে দুই লাখেরও বেশি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। খবর আনাদোলু এজেন্সি। সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, মালির প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মাঝারি থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যাদের বড় একটা অংশ শিশু। এছাড়া মেনাকার সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক শিশু দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। মালি সফর শেষে ইউনিসেফ ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাংবাদিকেদের এ ব তথ্য জানান। ইউনিসেফের কর্মকর্তা টেড চাইবান বলেন, ‘কঠিন মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মালি। এই সংকট মোকাবেলায় জরুরি সহায়তার প্রয়োজন।’ এই সংকট মোকাবেলায় ইউনিসেফ কাজ চালিয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। ২০২০ সালের পর থেকে দুটি অভ্যুত্থান ঘটে মালিতে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নানা ধরনের সংঘাতে জর্জরিত দেশটির নাগরিকরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

http://Chronic malnutrition, or stunting, affects more than 26 per cent of children in Mali

A starving child from the Mali Tribes waiting with an empty can for food. (Photo by John Downing/Getty Images)

 

সিরিয়া থেকে ইতালি ! ফোনে ফোনে মানব পাচার !

সিরিয়া থেকে ইতালিতে ফোনে ফোনেই হচ্ছে মানব পাচার। সিরিয়া থেকে লিবিয়া, তারপর মধ্য ভ‚মধ্যসাগরজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসী রুট যাত্রা সম্পর্কে এএফপি সিরিয়ার চোরাকারবারি ও অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের এক চোরাকারবারি বলেন, ‘আমরা ফোনের মাধ্যমে সব চূড়ান্ত করি।’

আরও বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের একটি অনুলিপি চাই। তারপর কোথায় টাকা দিতে হবে তার ঠিকানা দিয়ে দেই। কিন্তু আমরা নিজেদের আড়াল করে রাখি।’ এএফপিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এ কথা জানান।

সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের চোরাকারবারি বলেন, ‘এটি কোনো সমস্যা নয়। কারণ নিরাপত্তা কক্ষে আমাদের একজন লোক আছেন, যিনি খুব সহজেই অনুমোদন পান।’ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মতে, প্রায় ৯০ হাজার সিরিয়ান ইতালিতে গেছে।

চোরাকারবারিরা বলেন, ‘প্রথম দিকে বছরে আমরা একটি দল পাঠানোর মাধ্যমে কাজটা শুরু করি। এখন আমরা প্রতি মাসে একটি দল লিবিয়ায় পাঠাই।’ তারপর তাদের ইতালিতে পাঠানো হয়।

আসাদের পদত্যাগের দাবিতে সিরিয়ায় বিক্ষোভ

 

https://www.youtube.com/watch?v=9cQLb8H80ws&list=PLSCMPm7q1k_6rou1xyWFlZXTQnbipKXFS&index=1&t=2s

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ সিরিয়ায় এই বিক্ষোভ শুরু হলেও দ্রুতই তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নেয়।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক দুর্নীতি ও সরকারের অব্যবস্থাপনা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে গতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক এই জনবিক্ষোভের শুরু হয়েছিল সিরিয়ার বর্তমান ভয়াবহ অর্থনৈতিক দূরাবস্থার প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে; কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের বিক্ষোভ মিছিলগুলোতে ধ্বনিত হয়েছে- ‘বাশার দূর হোক, সিরিয়া স্বাধীন হোক’।

সিরিয়া বর্তমানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে। ১২ বছর আগে যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন এক ডলারের বিপরীতে সিরিয়ান পাউন্ডের দর ছিল ৪৭। বর্তমানে সেই মূল্যমান নেমে পৌঁছেছে ১৫ হাজার ৫০০তে। সিরিয়ার ইতিহাসে এর আগে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের এই পরিমাণ দরপতন ঘটেনি।

চলতি বছর জুন মাসে জাতিসংঘ বলেছিলে, সিরিয়ার ১২ বছরের সংঘাত  দেশটির ৯০ শতাংশ জনগণকে দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দাম এবং থাকছে না বিদ্যুৎ।

সিরিয়ার ১৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩টি ব্যাতীত বাকিগুলো এখনও রাজধানী দামেস্কে ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রদেশগুলোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বিরল, কিন্তু এবারের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মূলত সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রদেশগুলোতেই। এমনকি এই বিক্ষোভে সাড়া দিয়েছেন দ্রুজ ধর্মাবলম্বীরাও, যারা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ। গত ১২ বছরে কখনও কোনো আন্দোলন-প্রতিবাদে অংশ নেয়া দ্রুজরা এই প্রথম কোনো আন্দোলনে নামলেন।

মালয়েশিয়ায় মধ্য নির্বাচনে বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ

মালয়েশিয়ার রাজ্য নির্বাচনে নির্বাচনে বিরোধী দলীয় জোটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করেছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ক্ষমতাসীন জোট। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিজয় আনোয়ার ইব্রাহিমকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ এ দেশটিতে ক্ষমতা সুসংহত করার ইঙ্গিত বহন করে।

দেশটির ছয়টি রাজ্যে অনুষ্ঠিত শনিবারের এ নির্বাচন আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। গত বছর নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর জোট সরকারের প্রধান হিসেবে আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। এ নির্বাচন সংসদে বর্তমান দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর কোন প্রভাব ফেলবেনা। তবে, এটি আনোয়ার ইব্রাহিমের সমর্থনের ব্যারোমিটার হিসাবে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছিল। বর্তমান সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়দের মোকাবেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেশের সকল ক্ষেত্রে আরো বেশী প্রতিনিধিত্ব নিশিত করার জন্য কাজ করছেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আনোয়ারের পাকাতান হারাপান জোট সেলাঙ্গর, পেনাং এবং নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যে জয় লাভ করেছে, অপর তিনটি রাজ্যে জিতেছে বিরোধী জোট পেরিকাতান নাসিওনাল যারা মালয়দের প্রাধান্যে বিশ্বাসী।

লন্ডনের মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশি মোজাম্মেল হোসেন

লন্ডন প্রতিনিধিঃ লন্ডনের মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন। তিনি ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ (টোরি) পার্টির প্রার্থীর তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। লন্ডনের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে সম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন টোরি পার্টির নীতিনির্ধারকরা। সংক্ষিপ্ত সেই তালিকায় মোজাম্মেল হোসেনের নাম রয়েছে। বাকি দু’জন হলেন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা সুসান হল এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল করস্কি। সংক্ষিপ্ত এই তালিকা থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর একজনের নাম চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানা যাবে।

বাংলাদেশের বরিশালে জন্ম নেয়া মোজাম্মেল হোসেন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব অর্জন করেন তিনি। লন্ডনের লিঙ্কনস’ ইন থেকে ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মোজাম্মেল হোসেন বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী এবং ব্রিটেনের রাজপরিবারের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য। তিনি রাজপরিবারের আইনজীবী প্যানেলেরও সদস্যপদ পেয়েছেন।

লন্ডনে ঝিনাইদহবাসীর পিঠা মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শীত মানেই পিঠা-পুলির আয়োজন। ব্যস্ত প্রবাস জীবনে পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে রবিবার পূর্বলন্ডনের প্রাণ কেন্দ্র হুয়াইটচ্যাপেলের কলিংউড সেন্টারের পিঠা মেলার আয়োজন করে প্রবাসী ঝিনাইদাবাসীদের সংগঠন “প্রাণের ঝিনেদা“। পারিবারিক পরিবেশে আয়োজিত পিঠা মেলা ছিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর ভিন্ন এক আয়োজন। খাওয়ার সাথে দেখার মজাও কম ছিল না। প্রত্যেকেই পরিচিত হতে থাকে নানান রকম ও স্বাদের পিঠা-পুলির সাথে। পিঠা উপভোগের পাশাপাশি আয়োজনের পুরোটা সময় জুড়ে চলে নানা রকম প্রতিযোগিতা ও বিনোদনের ব্যবস্থা।

প্রবাস জীবনের নানান ব্যস্ততার মাঝেও লন্ডন ও পার্শবর্তী শহরগুলো থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের পরিবার পরিজনসহ নিজেদের ঘরে তৈরী পিঠার সমাহার নিয়ে ছুটে আসেন আনন্দঘন এ পরিবেশে যোগ দিতে। নাজমুল হাসান সোহাগ ও চ্যানেল এস এর হেড অফ চ্যারিটি সাংবাদিক তৌহিদুল করিম মুজাহিদের উপস্থাপনা আর তুহিন ফেরদৌসের পরিচালনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বৃটেনে বসবাসকারী প্রবাসী ঝিনাইদহবাসীদের পিঠা মেলার এ আয়োজন।

কলিংউড হলে জাকযমকপূর্ণ এ আয়োজনের অংশ নিতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছিল শতাধীক পরিবার। হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসেছিল পিঠা মেলায় আগত পরিবারগুলো। ঝিনুক পিঠা, কুলি পিঠা, চিতই পিঠা, রসে ভিজানো পিঠা, ঝাল পাকান, মিষ্টি পাকান, ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, মুখ পাকড়, বালিশ পিঠা, কিমা পিঠা, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, জামাই ভাজা, বকুল পিঠা, বিবিখানা পিঠা, গোলাপফুল পিঠা, সিমফুল পিঠা, স্যান্ডউইচ, কলিজা সিঙ্গারা, খেজুর গুড়ের পায়েস, ননি গুরের পায়েস, মিষ্টি, গুড়ের জিলাপি, সানার জিলাপি, দই, পুডিং, খির, কেক, কাপ কেক সহ প্রায় ৩০ রকমের পিঠার সমাগম ঘটে পিঠা মেলার এ ছোট্ট আয়োজনে। কত নামের আর কত ধরনের পিঠার যে সমাগম হয়েছিল তা বোঝায়ে শেষ করা যাবে না। বাহারি রংয়ের এসব পিঠা কিনতে কাউকে অবশ্য পকেটের পয়সা খরচ করতে হয়নি। আর তাই তো পিঠা রসিকরা রিতিমত ব্যাস্ত হয়ে উঠেছিল মজার মজার সুস্বাধু পিঠার স্বাদ নিতে। অনেকে আবার বক্স ভর্তি করে নিয়ে গেছে যাবার সময়।

আয়োজকরা বলছেন, প্রবাস জীবনের ব্যাস্ততার মাঝে একটু স্বস্তি পেতে এমন আয়োজন সত্যিই আনন্দের। সেইসাথে নিড়ের সাথে নিজেদের সম্পর্ক আর ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির সাথে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয়াই ছিল এই পিঠা মেলার মূল উদ্যেশ্য। আমাদের উদ্যেশ্য যে কতটা সফল তা পরিবারগুলোর দক্ষতা ও তাদের সক্রিয় উপস্থিতি দেখেই বোঝা যায়। মেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাদের সন্তানদেরকেও আনন্দে মাতিয়ে রাখা ও পরস্পরের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়া।

পিঠা মেলার এ আয়োজনে যোগ দিতে মাসব্যাপি প্রায় সমস্ত পরিবারগুলোই ছিল বেশ কর্মচঞ্চল। প্রতিটি ঘরেই ছিল ঈদের আনন্দ। সন্তানেরা তাদের মায়েদেরকে নানাভাবে সহায়তা করা সহ নিজেরাও তৈরী করেছে তাদের পছন্দের পিঠা-পুলি, কেক সহ নানান খাবারের আয়োজন। আর প্রতিনিয়ত পরিবারগুলোর সর্বশেষ প্রস্ততির খবরা খবর জানানো হচ্ছিল সংগঠনের ম্যাসেন্জার গ্রূপে। ফলে অন্যরাও উদ্বদ্ধ হচ্ছিল নতুন কিছু তৈরীতে। এ যেন এক ভালো কাজের প্রতিযোগীতা। অনুষ্ঠানে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে পিঠার সমাহার দেখে। যদিও এটা ছিল পিঠা মেলা তবুও এখানে রাখা হয়েছিল দুপুরের খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। আশরাফুন রনি ও সোনিয়া ফেরদৌসের রান্না করা মজাদার খাবার খেচুরী সাথে মরিচ-পেয়াজের ভর্তা, নানান রকমের আচার, মুরগীর রোস্ট, ডিম ভোনা, খাসীর রেজালা, সালাদ সহ আরো কত কি!

খাবারের পর্ব শেষ হতে না হতেই সবাই ব্যাস্ত হয়ে উঠে তুহিন ফেরদৌসের মজার মজার আয়োজনে। বাচ্চাদের জন্য ফ্রগ জাম্প, চামচ দৌড়, মহিলাদের জন্য বালিশ খেলা, আর জামায়-বৌ‘য়ের জন্য বেলুন ফাটানো আর ফান বক্স লটারী তো বিনোদনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তুহিনের সাথে আমাদের ছোট্ট মামনি ফিজাও কোন অংশে কম যায়নি। তার ছোট্ট হাতে শিল্পের ছোয়া ছোট ছোট শিশুদেরকে অকৃষ্ট করে রাখে। তার হাতের ফেস পেইন্ট করাতে শিশুরা সবাই ব্যাস্ত হয়ে উঠে।  যে কোন আয়োজনে গান পরিবেশনা থাকে বিশেষ আয়োজন। পিঠা মেলায় সে আয়োজনেরও কমতি ছিল না কনোভাবেই। মালিহা তাবাছ্ছুম উপমা, আলামগির আজাদ, শাহনাজ ফেরদৌস, ওমর ফারুক, নাহার নাজমুন সহ আরো অনেকেই তাদের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে উপভোগ্য গান উপহার দিয়ে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে রাখে। এবারের আয়োজন পিঠা মেলায় যোগ দিতে এসে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ দিন পর এমন একটি আয়োজনে হাজির হতে পেরে সকল ঝিনেদাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমন আরো অয়োজনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত উৎসাহ ও আনন্দের সাথে সহমত পোষন করেন। তারা বলেন, শেকড়ের টানে আজ আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। এ ধারা যেন অবিচল আর অব্যাহত থাকে আজীবন। আমাদের সন্তানেরা যেন নিজদেরকে চিনতে ভূল না করে। ভুলে না যায় তাদের শেকড়ের কথা, তাদের আপন জনদের কথা। ভূমিকে ভূলে না যায়। আমাদের এ প্রচেষ্ঠা তাদের জন্য নিশ্চয় নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে। আগামীর পথ চলা ও বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ ও নিজ জেলা ঝিনাইদহকে তুলে ধরতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভূমিকার রাখবে এটায় আমাদের প্রত্যাশা।

এ আয়োজন আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয়নি দিয়েছে প্রবাসে একটুকরো ঝিনেদার স্বাদ এমনই মন্তব্য উপস্থিত সকলের। পিঠা মেলার এমন মনোমুগ্ধকর আয়োজনে উপস্থিত না থাকতে পেরে অনেকেই গভীর দুঃখ ও অপারগতা প্রকাশ করেন। আগামী গ্রীষ্ম কালে পিকনিক সহ বছর জুড়ে নানা রকম আয়োজনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।

ব্লু-হোয়েলের চেয়েও ভয়ঙ্কর ‘কনডম স্নোর্টিং চ্যালেঞ্জ’!

সামাজিক মাধ্যমে আত্নহত্যার অপর নাম ছিল ব্লু-হোয়েল গেম। যা আতংকের সাড়া জাগিয়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। এবার ব্লু-হোয়েলের পরিবর্তে আসছে আরেক ভয়ঙ্কর গেম যার নাম ‘কনডম স্নোর্টিং চ্যালেঞ্জ’।

বিস্তারিত…

শিরোনাম