পাইলটের অনুরোধ রাখেনি কন্ট্রোল রুম (পাইলটের শেষ অডিও রেকর্ড)

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়া হয় বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানের পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ কথোপকথনে এমনই আভাস মিলেছে।

নেপালের ইংরেজি দৈনিক নেপালি টাইমস কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের সর্বশেষ কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছে। নেপালি এ দৈনিক বলছে, কন্ট্রোল রুম থেকে ভুল বার্তা দেয়ার কারণেই ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।বিস্তারিত…

নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত(ভিডিও)

নেপালের কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়েছে।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনের সূত্রে দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

nepal4

ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পূর্ব দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

nepal4

ঘটনায় নিহত বা আহত হয়েছেন কতজন সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

nepal4

 

উড়োজাহাজ আটকে দিল মশা!

অতি ক্ষুদ্র হলেও দাপট দেখাতে বেশ পটু মশা নামের প্রাণী। মশার কামড়ে বছরজুড়েই অতিষ্ঠ হতে হয় রাজধানী ঢাকাবাসীকে। এবার মশা থামিয়ে দিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজকে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।বিস্তারিত…

চোখে টিয়ারশেলের আঘাত পাওয়া সিদ্দিকুর কি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে?

পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে আহত ছাত্র মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের দুটি চোখের অবস্থাই খারাপ। সিদ্দিকুর আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কিনা, তানিয়ে এখুনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি চিকিৎসকেরা।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মনির বিবিসি বাংলাকে বলেন, শনিবার সিদ্দিকুরের চোখে অপারেশন করার পর আজ সকালে তার চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে।বিস্তারিত…

বাগেরহাটে ট্রলার ডুবিতে নিহত ৩

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে খেয়া পারাপারের ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ মহিলার লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মোড়েলগঞ্জের ছোলমবাড়ীয়া খেয়াঘাট থেকে দুটি যাত্রীবাহিী বাসের ৮০ জনের অধিক যাত্রী নিয়ে উপজেলা সদরের পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রলারটি  ডুবির পর পর স্থানীয়দের সহায়তা ৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ১০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিস্তারিত…

উল্টে গেল ট্রাক, চলে গেল পুরো পরিবার

অভাব ঘোচাতে আট মাস আগে গ্রাম ছেড়ে রাজধানীতে পাড়ি জমান আজিজুল হক (৪০)। সঙ্গে নেন স্ত্রী ও তিন ছেলেকে। কিছু অর্থকড়ি রোজগারের পর আবারও গ্রামে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল পুরো পরিবারের সবার প্রাণ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহেরবাড়ি এলাকায় গতকাল শুক্রবার ভোরে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক উল্টে তাঁরা ৫ জনসহ ১০ জন নিহত হয়।বিস্তারিত…

ঢাকা বিমানবন্দরের কাছে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত

বাংলাদেশের ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গোল চত্বর এলাকায় পুলিশের চেক পোস্টের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। মি. মিয়া জানান নিজের সাথে থাকা বোমা বিস্ফোরনে লোকটি নিহত হয়েছে।

তিনি বলেছেন, নিহত ব্যক্তিটির কোমর থেকে উপরের অংশ উড়ে গেছে এবং কোমরের কাছে বোমাটি বাঁধা ছিলো।বিস্তারিত…

মেহেরপুরে দুই ছেলে, স্ত্রী ও নাতির মৃত্যুর অনুমতি প্রার্থনা করলেন এক ব্যবসায়ী

‘দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত দুই ছেলে, স্ত্রী ও নাতির মৃত্যুর অনুমতি পত্র’।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর কম্পিউটারের টাইপ করে লেখা আবেদন পত্রটির বিষয়ের জায়গায় এমন লেখা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠবেন।

গত বৃহস্পতিবার এই আবেদনপত্রটি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক খায়রুল হাসানও আঁতকে উঠেছিলেন।

সঙ্গে সঙ্গেই তিনি যোগাযোগ করেছিলেন আবেদনকারী তোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে।

মি. হোসেন, মেহেরপুর বাজারে একটি দোকানের মালিক ছিলেন। ভালোই ছিলেন।

কিন্তু সর্বস্ব তিনি খুইয়েছেন অসুস্থ দুই ছেলে আর নাতির পেছনে।

তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। অচল-প্রায়।

দিনকে দিন তাদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে।

আবেদন পত্র
তোফাজ্জেল হোসেনের লেখা আবেদন পত্রের একাংশ

চব্বিশ বছর বয়েসী বড় ছেলেটির বেঁচে থাকবার আশা ছেড়েই দিয়েছেন মি. হোসেন।

তবে ছোট ছেলেটি এবং নাতিটির অবস্থা অত খারাপ নয় বলে এখনো স্বপ্ন দেখেন তাদের বাঁচানোর।

সর্বশেষ বাজারের দোকানটি বেচে বড় ছেলে সবুরকে ভারতে নিয়ে গিয়েছিলেন।

সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছিল, সে বিরল এক ধরণের ‘মাসকুল্যার ডিসট্রোফি’ বা মাংসপেশিতে পুষ্টির অভাবজনিত অসুখে আক্রান্ত এবং এর চিকিৎসা তাদের কাছে নেই।বিস্তারিত…

গুলশান মার্কেটে আগুন: নাশকতার অভিযোগ

বাংলাদেশে ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকায় সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মার্কেটটির ব্যবসায়ীদের অনেকে অভিযোগ করেছেন,বহুতল ট্রেড সেন্টার নির্মাণের কথা বলে এই মার্কেট ভেঙে ফেলার একটা চেষ্টা ছিল, তার মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এই অগ্নিকাণ্ডকে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টায় আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় পর দমকল বাহিনী তা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এই আগুনে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

আগুন লাগার পর মার্কেটে ভবনের একটা অংশ ধসে পড়েছে।

গুলশান মার্কেট
গুলশান মার্কেটে আসবাবপত্র বা ফার্নিচারের দোকান বেশি ছিলো

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের অন্য অংশের ব্যবসায়ীরা যে যার দোকান থেকে মালামাল বের করে এনে রাস্তার ওপর রাখছেন।

তারা চেষ্টা করছিলেন আগুনের হাত থেকে অন্তত কিছু মালামাল রক্ষা করা যায় কিনা।

মার্কেটে একদিকে কাঁচা বাজার আর অন্যদিকে কাপড়, কসমেটিকস এবং গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যেতো।

তবে এখানে আসবাবপত্র বা ফার্নিচারের দোকান বেশি ছিলো।

ব্যবসায়ীরা আগুন লাগার পর পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, “ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তাদের গাড়িতে আনা পানি শেষ হওয়ার পর কাজ বন্ধ রেখেছিল। সে কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। অথচ মার্কেটের দুই পাশে লেক ছিল। সেখান থেকে পানি নিতে তারা অনেক সময় নেয়।”

অনেক ব্যবসায়ী কিছু মালামাল রক্ষা করতে পেরেছেন। অনেকের মালামাল,পুঁজি সবই আগুনে পুড়ে গেছে।

অনেকে অভিযোগ করছেন পরিকল্পনা করে আগুন লাগানো হয়েছে
অনেকে অভিযোগ করছেন পরিকল্পনা করে আগুন লাগানো হয়েছে

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলছেন।

তবে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন বিভাগের পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ কোনো অভিযোগ মানতে রাজি নন।

“মার্কেটটিতে দাহ্য পদার্থ এবং গ্যাস থেকে শুরু করে নানান ধরণের জিনিস ছিল। এছাড়া আগুন লাগার পর বিস্ফোরণ হয়ে মার্কেটের একটা অংশ ধসে পড়ে। আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্র বা পানি কিছুই ছিল না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।”

মার্কেটটির ব্যবসায়ীরা এমন অগ্নিকান্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ এনেছেন।

তারা বলেছেন,সাত বিঘা জমির ওপর এই মার্কেট ভেঙে ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৩ সালে সিটি কর্পোরেশন একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছিল।

আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে
আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে

মার্কেটের দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।

কিন্তু তাদের উচ্ছেদের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়া হয়েছিলো।

সে কারণে এখন অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে তাদের সন্দেহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির একজন নেতা শেখ মো: হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, “নাশকতা বলছি এই কারণে যে, কয়েকবার আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়েছে। আমাদের পুনর্বাসন না করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চায়। সে কারণে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে আমাদের সন্দেহ।”

তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, এটি নাশকতার কোনো ঘটনা নয় বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

“নাশকতার কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই। প্রাথমিকভাবে আমি মনে করি, এটা একটা দুর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে। তবে সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের যৌথ তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে, এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা।”

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা।

শিরোনাম