সিরিয়া থেকে ইতালি ! ফোনে ফোনে মানব পাচার !

সিরিয়া থেকে ইতালিতে ফোনে ফোনেই হচ্ছে মানব পাচার। সিরিয়া থেকে লিবিয়া, তারপর মধ্য ভ‚মধ্যসাগরজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসী রুট যাত্রা সম্পর্কে এএফপি সিরিয়ার চোরাকারবারি ও অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের এক চোরাকারবারি বলেন, ‘আমরা ফোনের মাধ্যমে সব চূড়ান্ত করি।’

আরও বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের একটি অনুলিপি চাই। তারপর কোথায় টাকা দিতে হবে তার ঠিকানা দিয়ে দেই। কিন্তু আমরা নিজেদের আড়াল করে রাখি।’ এএফপিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এ কথা জানান।

সিরিয়ার দক্ষিণে দারা প্রদেশের চোরাকারবারি বলেন, ‘এটি কোনো সমস্যা নয়। কারণ নিরাপত্তা কক্ষে আমাদের একজন লোক আছেন, যিনি খুব সহজেই অনুমোদন পান।’ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মতে, প্রায় ৯০ হাজার সিরিয়ান ইতালিতে গেছে।

চোরাকারবারিরা বলেন, ‘প্রথম দিকে বছরে আমরা একটি দল পাঠানোর মাধ্যমে কাজটা শুরু করি। এখন আমরা প্রতি মাসে একটি দল লিবিয়ায় পাঠাই।’ তারপর তাদের ইতালিতে পাঠানো হয়।

মালয়েশিয়ায় মধ্য নির্বাচনে বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ

মালয়েশিয়ার রাজ্য নির্বাচনে নির্বাচনে বিরোধী দলীয় জোটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করেছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ক্ষমতাসীন জোট। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিজয় আনোয়ার ইব্রাহিমকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ এ দেশটিতে ক্ষমতা সুসংহত করার ইঙ্গিত বহন করে।

দেশটির ছয়টি রাজ্যে অনুষ্ঠিত শনিবারের এ নির্বাচন আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। গত বছর নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর জোট সরকারের প্রধান হিসেবে আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। এ নির্বাচন সংসদে বর্তমান দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর কোন প্রভাব ফেলবেনা। তবে, এটি আনোয়ার ইব্রাহিমের সমর্থনের ব্যারোমিটার হিসাবে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছিল। বর্তমান সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়দের মোকাবেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেশের সকল ক্ষেত্রে আরো বেশী প্রতিনিধিত্ব নিশিত করার জন্য কাজ করছেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আনোয়ারের পাকাতান হারাপান জোট সেলাঙ্গর, পেনাং এবং নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যে জয় লাভ করেছে, অপর তিনটি রাজ্যে জিতেছে বিরোধী জোট পেরিকাতান নাসিওনাল যারা মালয়দের প্রাধান্যে বিশ্বাসী।

লন্ডনের মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশি মোজাম্মেল হোসেন

লন্ডন প্রতিনিধিঃ লন্ডনের মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন। তিনি ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ (টোরি) পার্টির প্রার্থীর তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। লন্ডনের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে সম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন টোরি পার্টির নীতিনির্ধারকরা। সংক্ষিপ্ত সেই তালিকায় মোজাম্মেল হোসেনের নাম রয়েছে। বাকি দু’জন হলেন কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা সুসান হল এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল করস্কি। সংক্ষিপ্ত এই তালিকা থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর একজনের নাম চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানা যাবে।

বাংলাদেশের বরিশালে জন্ম নেয়া মোজাম্মেল হোসেন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুতে। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব অর্জন করেন তিনি। লন্ডনের লিঙ্কনস’ ইন থেকে ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মোজাম্মেল হোসেন বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী এবং ব্রিটেনের রাজপরিবারের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য। তিনি রাজপরিবারের আইনজীবী প্যানেলেরও সদস্যপদ পেয়েছেন।

লন্ডনে ঝিনাইদহবাসীর পিঠা মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শীত মানেই পিঠা-পুলির আয়োজন। ব্যস্ত প্রবাস জীবনে পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে রবিবার পূর্বলন্ডনের প্রাণ কেন্দ্র হুয়াইটচ্যাপেলের কলিংউড সেন্টারের পিঠা মেলার আয়োজন করে প্রবাসী ঝিনাইদাবাসীদের সংগঠন “প্রাণের ঝিনেদা“। পারিবারিক পরিবেশে আয়োজিত পিঠা মেলা ছিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর ভিন্ন এক আয়োজন। খাওয়ার সাথে দেখার মজাও কম ছিল না। প্রত্যেকেই পরিচিত হতে থাকে নানান রকম ও স্বাদের পিঠা-পুলির সাথে। পিঠা উপভোগের পাশাপাশি আয়োজনের পুরোটা সময় জুড়ে চলে নানা রকম প্রতিযোগিতা ও বিনোদনের ব্যবস্থা।

প্রবাস জীবনের নানান ব্যস্ততার মাঝেও লন্ডন ও পার্শবর্তী শহরগুলো থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের পরিবার পরিজনসহ নিজেদের ঘরে তৈরী পিঠার সমাহার নিয়ে ছুটে আসেন আনন্দঘন এ পরিবেশে যোগ দিতে। নাজমুল হাসান সোহাগ ও চ্যানেল এস এর হেড অফ চ্যারিটি সাংবাদিক তৌহিদুল করিম মুজাহিদের উপস্থাপনা আর তুহিন ফেরদৌসের পরিচালনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বৃটেনে বসবাসকারী প্রবাসী ঝিনাইদহবাসীদের পিঠা মেলার এ আয়োজন।

কলিংউড হলে জাকযমকপূর্ণ এ আয়োজনের অংশ নিতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে এসেছিল শতাধীক পরিবার। হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসেছিল পিঠা মেলায় আগত পরিবারগুলো। ঝিনুক পিঠা, কুলি পিঠা, চিতই পিঠা, রসে ভিজানো পিঠা, ঝাল পাকান, মিষ্টি পাকান, ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, মুখ পাকড়, বালিশ পিঠা, কিমা পিঠা, দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, জামাই ভাজা, বকুল পিঠা, বিবিখানা পিঠা, গোলাপফুল পিঠা, সিমফুল পিঠা, স্যান্ডউইচ, কলিজা সিঙ্গারা, খেজুর গুড়ের পায়েস, ননি গুরের পায়েস, মিষ্টি, গুড়ের জিলাপি, সানার জিলাপি, দই, পুডিং, খির, কেক, কাপ কেক সহ প্রায় ৩০ রকমের পিঠার সমাগম ঘটে পিঠা মেলার এ ছোট্ট আয়োজনে। কত নামের আর কত ধরনের পিঠার যে সমাগম হয়েছিল তা বোঝায়ে শেষ করা যাবে না। বাহারি রংয়ের এসব পিঠা কিনতে কাউকে অবশ্য পকেটের পয়সা খরচ করতে হয়নি। আর তাই তো পিঠা রসিকরা রিতিমত ব্যাস্ত হয়ে উঠেছিল মজার মজার সুস্বাধু পিঠার স্বাদ নিতে। অনেকে আবার বক্স ভর্তি করে নিয়ে গেছে যাবার সময়।

আয়োজকরা বলছেন, প্রবাস জীবনের ব্যাস্ততার মাঝে একটু স্বস্তি পেতে এমন আয়োজন সত্যিই আনন্দের। সেইসাথে নিড়ের সাথে নিজেদের সম্পর্ক আর ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির সাথে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয়াই ছিল এই পিঠা মেলার মূল উদ্যেশ্য। আমাদের উদ্যেশ্য যে কতটা সফল তা পরিবারগুলোর দক্ষতা ও তাদের সক্রিয় উপস্থিতি দেখেই বোঝা যায়। মেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাদের সন্তানদেরকেও আনন্দে মাতিয়ে রাখা ও পরস্পরের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়া।

পিঠা মেলার এ আয়োজনে যোগ দিতে মাসব্যাপি প্রায় সমস্ত পরিবারগুলোই ছিল বেশ কর্মচঞ্চল। প্রতিটি ঘরেই ছিল ঈদের আনন্দ। সন্তানেরা তাদের মায়েদেরকে নানাভাবে সহায়তা করা সহ নিজেরাও তৈরী করেছে তাদের পছন্দের পিঠা-পুলি, কেক সহ নানান খাবারের আয়োজন। আর প্রতিনিয়ত পরিবারগুলোর সর্বশেষ প্রস্ততির খবরা খবর জানানো হচ্ছিল সংগঠনের ম্যাসেন্জার গ্রূপে। ফলে অন্যরাও উদ্বদ্ধ হচ্ছিল নতুন কিছু তৈরীতে। এ যেন এক ভালো কাজের প্রতিযোগীতা। অনুষ্ঠানে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে পিঠার সমাহার দেখে। যদিও এটা ছিল পিঠা মেলা তবুও এখানে রাখা হয়েছিল দুপুরের খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। আশরাফুন রনি ও সোনিয়া ফেরদৌসের রান্না করা মজাদার খাবার খেচুরী সাথে মরিচ-পেয়াজের ভর্তা, নানান রকমের আচার, মুরগীর রোস্ট, ডিম ভোনা, খাসীর রেজালা, সালাদ সহ আরো কত কি!

খাবারের পর্ব শেষ হতে না হতেই সবাই ব্যাস্ত হয়ে উঠে তুহিন ফেরদৌসের মজার মজার আয়োজনে। বাচ্চাদের জন্য ফ্রগ জাম্প, চামচ দৌড়, মহিলাদের জন্য বালিশ খেলা, আর জামায়-বৌ‘য়ের জন্য বেলুন ফাটানো আর ফান বক্স লটারী তো বিনোদনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তুহিনের সাথে আমাদের ছোট্ট মামনি ফিজাও কোন অংশে কম যায়নি। তার ছোট্ট হাতে শিল্পের ছোয়া ছোট ছোট শিশুদেরকে অকৃষ্ট করে রাখে। তার হাতের ফেস পেইন্ট করাতে শিশুরা সবাই ব্যাস্ত হয়ে উঠে।  যে কোন আয়োজনে গান পরিবেশনা থাকে বিশেষ আয়োজন। পিঠা মেলায় সে আয়োজনেরও কমতি ছিল না কনোভাবেই। মালিহা তাবাছ্ছুম উপমা, আলামগির আজাদ, শাহনাজ ফেরদৌস, ওমর ফারুক, নাহার নাজমুন সহ আরো অনেকেই তাদের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে উপভোগ্য গান উপহার দিয়ে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে রাখে। এবারের আয়োজন পিঠা মেলায় যোগ দিতে এসে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ দিন পর এমন একটি আয়োজনে হাজির হতে পেরে সকল ঝিনেদাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমন আরো অয়োজনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত উৎসাহ ও আনন্দের সাথে সহমত পোষন করেন। তারা বলেন, শেকড়ের টানে আজ আমরা একত্রিত হতে পেরেছি। এ ধারা যেন অবিচল আর অব্যাহত থাকে আজীবন। আমাদের সন্তানেরা যেন নিজদেরকে চিনতে ভূল না করে। ভুলে না যায় তাদের শেকড়ের কথা, তাদের আপন জনদের কথা। ভূমিকে ভূলে না যায়। আমাদের এ প্রচেষ্ঠা তাদের জন্য নিশ্চয় নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে। আগামীর পথ চলা ও বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ ও নিজ জেলা ঝিনাইদহকে তুলে ধরতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভূমিকার রাখবে এটায় আমাদের প্রত্যাশা।

এ আয়োজন আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয়নি দিয়েছে প্রবাসে একটুকরো ঝিনেদার স্বাদ এমনই মন্তব্য উপস্থিত সকলের। পিঠা মেলার এমন মনোমুগ্ধকর আয়োজনে উপস্থিত না থাকতে পেরে অনেকেই গভীর দুঃখ ও অপারগতা প্রকাশ করেন। আগামী গ্রীষ্ম কালে পিকনিক সহ বছর জুড়ে নানা রকম আয়োজনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।

৩১ দিনে ১৩০০ মিলিয়ন ডলার পাঠাল প্রবাসীরা

বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে প্রবাসীদের অবদান কোন অংশে কম নয়। তাদের আয়ে চলে হাজার হাজার পরিবার। তাদের আয়ের অংসে দেস হচ্ছে দরিদ্রমুক্ত, হচ্ছ স্বছল।

২০১৭ সালের মাচ মাসে প্রবাসীরা দেশে ১,০৭৭.৫২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে ১,৩০০.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছে তারা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় ২২২.৯৪ মিলিয়ন ডলার বেশি।

বিস্তারিত…

যে প্রাণীর জন্য সালমান খানের জেল

দুইটি হরিণ হত্যা করেছিলেন সালমান খান। প্রজাতির নাম কৃষ্ণসার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এদের শরীরের রং বদলায়। জন্মের সময় রং থাকে বাদামী। ঠিক চার মাস শরীরের ওপরের চামড়ার রং হয়ে যায় কালো। শিং ওপরের দিকে উঠে গেছে, প্যাঁচানো।

ভারতের যোধপুরের বিশনয় সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার অত্যন্ত পবিত্র। কৃষ্ণসার রক্ষা করার জন্য নিজেদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ! তবে সংখ্যায় কমতে কমতে দুর্লভ প্রাণীর তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছে কৃষ্ণসার।

১৯৯৮ সালে যোধপুরে সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে দুইটি কৃষ্ণসারকে গুলি করেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান। ওই গুলির আওয়াজ পায় স্থানীয় বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ। যারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও। বিশ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয় সালমান খানের। রায় ঘোষণার পরই তাঁকে যেতে হয়েছে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

২০ বছর ধরে ন্যায়বিচার আশা করছিলেন বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ কৃষ্ণসার তাঁদের কাছে ‘পবিত্র বস্তু’। এছাড়া প্রাণিহত্যার বিরুদ্ধেও ওই সম্প্রদায় কাজ করে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, কৃষ্ণসারের দেখা মেলে কেবল ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে। দেখতে অসাধারণ ওই হরিণটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের ‘স্টেট অ্যানিমেল।’

যোধপুরের বিশনয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, তাঁদের ধর্মীয় গুরু জামবেশ্বরের পুনর্জন্ম হয়েছে। তিনি কৃষ্ণসার রূপে আবার ফিরে এসেছেন পৃথিবীতে। ১৪৫১ সালে জামবেশ্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২৯টি রীতির কথা বলেন। তাঁর অনুসারীদের বিশনয় বলা হয়। স্থানীয় ভাষা অনুযায়ী বিশ মানে হচ্ছে ২০ আর নয় মানে ৯ অর্থাৎ ২৯।

ওই ২৯ রীতির মধ্যে আছে সামাজিক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা, নারী অধিকার রক্ষা করা, প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন, বণ্যপ্রাণী রক্ষা করা। প্রকৃতিরক্ষা এবং বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশনয় সম্প্রদায়ের পরিচিতিও আছে অনেক।

ধর্মীয় কারণেই বিশনয় সম্প্রদায় চায় বনে বেড়ে যাক কৃষ্ণসারের সংখ্যা। দল বেঁধে খোলা সবুজ প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে কৃষ্ণসার।

তবে শিকার আর বনভূমি কমে যাওয়ার কারণে ভারতে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে কৃষ্ণসারের সংখ্যা।

১৯৯৮ সালে সালমান খান, সাইফ আলী খান, টাবু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ে যোধপুর গিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, শ্যুটিং চলাকালীন ১ ও ২ অক্টোবর রাতে দুই জায়গায় সালমান খান কৃষ্ণসার শিকার করেন। ওই সময় বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ কাঙ্কানি গ্রাম থেকে সেই হরিণ শিকারের গুলির শব্দ শুনতে পান।

এমনকি সালমান খানকে জিপসি নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখেন তাঁরা। সালমানের খানের বিরুদ্ধে কাঙ্কানি গ্রামের বাসিন্দারাই মূল অভিযোগ তোলেন।

রিয়াদে প্রবাসী সংগঠনের দ্বিবার্ষিক সভা

 স্থানীয় সময় শনিবার রিয়াদের বারসোতাজ কমিউনিটি সেন্টারের হলঘরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদি আরব সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবুল বশির।

বসন্তের রূপ

বিস্তারিত…

অসহায় এক প্রবাসীর গল্প

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ভেতর এক কোনে হুইল চেয়ারে বসে শুধু চোখের পানি ফেলছেন মাইনুল ইসলাম (৪০) নামে  এক  বাংলাদেশি। তার বোবা কান্না যেনো দেখার কেউ নেই!দূর থেকে অসহায় এ মানুষকে দেখে এগিয়ে আসেন সেই সময় সরকারি কাজে বিমানবন্দরে থাকা মালয়েশিয়াস্থ  বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোকসেদ আলি ও মিরান লস্কর নামে এক প্রবাসী।বিস্তারিত…

শিরোনাম