লঙ্কান দর্শকরা ভুল বুঝেছিল বাংলাদেশকে!

নিদাহাস ট্রফির দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণের ম্যাচের শেষ মুহূর্তের সেই উত্তেজনাকর ঘটনার কথা এখনও মনে আছে সবার।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। ওভারের প্রথম দুটি বলেই লঙ্কানরা দুটা বাউন্সার দেয়। তবে তাতেও আম্পায়ার দেননি নো-বলের সংকেত। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মাঠের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন বাইরে চলে আসার জন্য।

এ সময় হইহুল্লোড় শুরু হয় গ্যালারিতেও। ম্যাচ অফিসিয়ালরা সাকিবকে শান্ত করার চেষ্টা করলে ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি। এরপর ক্রিজে ফেরেন দুই ব্যাটসম্যানও। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ্‌ রিয়াদের বীরোচিত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পায় দুর্দান্ত এক জয়, সেই সাথে নিশ্চিত করে ফাইনালও।

কিন্তু ঘটনার পর তেতে উঠে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মুন্ডুপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটির গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। এমনকি ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচেও শ্রীলঙ্কা সমর্থন করে ভারতকে।

ঐ সিরিজে বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তার মতে, ঐ ঘটনার জের ধরে বাংলাদেশকে ভুল বুঝেছিলেন শ্রীলঙ্কান দর্শকরা।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ওয়ালশ বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আম্পায়ারদের ভুল তো ছিলই। যা ঘটেছিল, সম্ভবত দর্শকেরা ভুল বুঝেছিল।’

নো-বল হওয়ার কারণে বাংলাদেশ করেছিল ফ্রি-হিটের প্রত্যাশা। কিন্তু আম্পায়ার নো-বলের সংকেতই দেননি। অবশ্য ওয়ালশ এই বিষয়টিকে দেখছেন ক্রিকেটের স্বাভাবিক এক ভুল হিসেবেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ফ্রি-হিট পাব, কারণ এটা নো বল ছিল। আমি ওদের সঙ্গে ম্যাচের পরেও কথা বলেছি। তবে এটা হতে পারে।’

ওয়ালশের মতে, ঐ ঘটনা সমর্থকদের ক্রিকেটের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ‘এতে বোঝা যায়, খেলাটার প্রতি কতটা প্যাশন তাদের। তবে সবকিছুরই নিয়মনীতি আছে, আপনি এটার বাইরে যেতে পারেন না।’

শিরোনাম