তামিমের কাছে অসাধারণ মুশফিকের ইনিংস
লক্ষ্য ছিল পাহাড়সম। ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেমন উড়ন্ত সূচনা দরকার তেমনটাই এনে দিয়েছিল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুই ওপেনারের গড়া ভিতের ওপর সৌধ তুলেছেন মুশফিক-সৌম্য-রিয়াদ। ৩৫ বলে ৭৪ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন মুশফিক। তার বীরত্বে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিতে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের চোখে এটিই মুশফিকুর রহিমের টি-২০ ক্যারিয়ারে সেরা ইনিংস।
ওপেনিংয়ে লিটন কুমার দাস খেলেন ১৯ বলে ৪৩ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। এরপর বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল রানের গতি ধরে রাখা। সেই কাজটা দারুণভাবে করেছেন মুশফিক। ৩৫ বলে করেছেন ৭৪ রান। মাঠ ছেড়েছেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে। মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ব্যাট হাতে।
মুশফিকের ইনিংস নিয়ে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, “২১৫ রান তাড়া করা কখনোই সহজ কাজ নয়। মুশফিক যখন উইকেটে এসেছিল, তখন তার হাতে সেট হওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রথম বল থেকেই তাকে মারতে হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সে থামেনি। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকেছে। অবশ্যই টি-২০ তে এটি তার সেরা ইনিংস।”
তামিম-লিটনের ঝড়ো সূচনার পর মাঝের ওভারগুলোতেও বাংলাদেশের দরকার ছিল বিধ্বংসী ব্যাটিং। প্রায় পুরো ইনিংসজুড়েই ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রানের হার ছিল দশের উপরে। মুশফিক সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন চমৎকারভাবে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আর নিয়মিত প্রান্ত বদল করে সচল রেখেছেন দলের রানের চাকা। মুশফিক দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করেন তামিম।
তামিম ইকবাল বলেন, “মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিটি ওভারেই বাউন্ডারি দরকার ছিল। সিঙ্গেল-ডাবলসও দরকার ছিল। মুশফিক তখন অসাধারণ ব্যাট করেছে। ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা পুরোপুরিভাবে দেখিয়েছে আজকে। এর চেয়ে বেশি বলার নেই।”
মুশফিকের পুরো ইনিংসে সবকিছুই ঠিকঠাক মনে হয়েছে তামিমের। তিনি বলেন, “আউট হয়ে গেলে হয়তো বলতে পারতাম যে খেলা শেষ করে আসতে পারত। কিন্ত আজকে সে সবই ঠিক করেছে।”