অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ৬৯ শতাংশই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আর তাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই ফেসবুক, ভাইবার, ইমো, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজের (সিসিএ) এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ‘নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালার অংশ হিসেবে এই জরিপ করা হয়েছে। দেশের ৭ বিভাগের ৪০টি স্কুল-কলেজের প্রায় ১০ হাজার ২২০ জন ছাত্রী এই জরিপে অংশ নেয়। ছাত্রীদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতন করতে গত ১৯ মে এই কর্মশালা শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৩৯ শতাংশেরই অভিভাবক এ বিষয়ে অবগত নন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীই জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতনতার বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেটে বিশ্রীরকম ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী নারীর কান্না তাঁকে দেখতে হয়। শুধু যৌক্তিক আচরণ করলে এবং লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই সাইবার জগতে প্রতারণার হাত থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপদ থাকা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিসিএর নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক মামুনুর রশীদ, র্যাবের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন মাহমুদসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।
সমাপনীর আগে সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতনতামূলক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইডিয়াল কলেজ, ধানমন্ডি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বিসিএসআইআর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ফোর ডি কমিউনিকেশনস লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।