বৃটেনের ওয়ার্দিং কাউন্সিলের নতুন মেয়র সিলেটের ইবশা চৌধুরী

সিলেট সিটি করপোরেশনের খুররুম খলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী চৌধুরী (আমোদ মিয়া)’র বড় ছেলে সিলেটের কৃতি সন্তান ইবশা আহমেদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যের ওয়ার্দিং বারা কাউন্সিলের নতুন সিভিক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার কাউন্সিল ভবনের পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল সভায় কাউন্সিলরদের ভোটে ইবশা চৌধুরী নির্বাচিত হন। তিনি আগামী এক বছর ওয়ার্দিং কাউন্সিলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মেয়র ইবশা চৌধুরী লেবার পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত হন ২০১৯ সালে এবং ৫ বছরের ব্যবধানে নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে ওয়ার্দিং কাউন্সিলের প্রথম মুসলিম কাউন্সিলর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সল্প সময়ের ব্যবধানে নিজ কর্মগুনে তিনি কাউন্সিলর থেকে ডেপুটি মেয়র এবং সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। ৪১ বছর বয়সী ইবশা চৌধুরী বাংলাদেশি বংশদ্ভত সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। গত এক বছর তিনি ওয়ার্দিং কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ইবশা চৌধুরীর আগে বাংলাদেশি বংশদ্ভত ফেরদৌসী বেগম ২০২২ সাল থেকে মেয়র হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ইবশা চৌধুরী ২০২১ সালে ক্যাসেল ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এই ওয়ার্ড থেকে ইতিপূর্বে লেবার পার্টি কখনও নির্বাচনে জিততে পারেনি। কাউন্সিলর থাকাকালিন সময়ে ইবশা চৌধুরী ওয়ার্দিং টাউন ফুটবল ক্লাবের ইকুয়ালিটি অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন। করোনা মহামারির সময় তিনি একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে স্থানীয় মানুষের পাশে থেকে কমিউনিটির কল্যানে কাজ করেন। এ সময় তিনি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস এর খাবারের সমন্বয় ও সরবরাহে সার্বিকভাবে সহায়তা করে বেশ আলোচনায় আসেন।
ইবশা চৌধুরী জন্ম বাংলাদেশের সিলেট শহরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের খুররামখলা আবাসিক এলাকায়। তিনি সিলেট এমসি কলেজে লেখাপড়া করেন। ২০০০ সালে তিনি পারিবারিক সূত্রে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। গোলাম রাব্বানী আমোদ চৌধুরী ও জেবু সুলতানা চৌধুরীর চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে ইবশা চৌধুরী সবার বড়। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া ইবশা চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সিভিল এনফোর্সমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি সাসেক্স পুলিশের ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার গ্রুপের অ্যাডভাইজার পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মেয়র হিসেবে শপফ নেয়ার পর এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ইবশা চৌধুরী বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি তার একটা মোহ কাজ করতো। সেই প্রেরনা থেকেই যুক্তরাজ্যের মূল ধারার রাজনীতিতে আমার পদচারনা। সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সমানাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে একজন বাংলাদেশি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।
সাংবাদিকঃ তৌহিদুল করিম মুজাহিদ