ব্যবসায়ীদের লোভটা অত্যন্ত বেশি: অর্থমন্ত্রী
বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চাওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের লোভ ‘অত্যন্ত বেশি’।
রোববার সচিবালয়ে বিসিএস কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাকসেশন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রীর এমন মন্তব্য আসে।
২০১২ সালের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আইন কার্যকরের সময় আরও দুই বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি ভ্যাট বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগে নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের কাছে। কিন্তু তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা যে খুশি নন, সে খবর ইতোমধ্যে সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দে ডোন্ট ওয়ান্ট টু পে, নিজের পকেট থেকে পয়সা পৃথিবীর কেউ দিতে চায় না। আমাদের দেশ একটু বেশি, লোভটা অত্যন্ত বেশি। সবই বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চায়… তারা কোনো ট্যাক্স দিতে চায় না।”
সব পণ্য বিক্রির উপর অভিন্ন হারে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিতে ২০১২ সালে আইন করে সরকার। ২০১৬ সালের ১ জুলাই তা কার্যকরের পরিকল্পনা থাকলেও ব্যবসায়ীদের প্রবল বিরোধিতায় তা পিছিয়ে গত বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
কিন্তু নির্বাচনের দেড় বছর আগে ভ্যাটকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কায় গত বাজেটের আগে সরকারের মধ্যেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে।
পরে জাতীয় সংসদে অর্থবিল পাসের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাট আইন কার্যকরের সময় আরও দুই বছর পেছাতে বললে তাতে মাথা নোয়ান অর্থমন্ত্রী। ফলে ভ্যাট আইন কার্যকরের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক হারের ভ্যাট নির্ধারণের ওই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলেই এখন তার উপলব্ধি হচ্ছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনে রোববার তিনি বলেন, “কিছু হাই রেইট থাকবে, কিছু লো রেইট থাকতে হবে। অ্যাট লিস্ট দেয়ার শুড বি টু রেইটস।”
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার (ইসিআর) চালু করলে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, সরকার কাস্টমস আইন যুগপোযোগী করতে কাজ সরকার। আগামী বাজেটের আগেই তা সংসদে তোলা হবে।