ছেলে মেয়েদের ফ্যাশনে অত্যন্ত জরুরী যে বিষয়গুলো।

বর্তমান যুগে শুধুমাত্র মেয়েরাই ফ্যাশন সচেতন নন। ছেলেরাও বেশ ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছেন। তবে ফ্যাশন সচেতন ছেলে বলতে এটা বুঝায় না যে তারা ব্র্যান্ডের পোশাক ছাড়া কাপড় এবং ব্র্যান্ডের এক্সেসরিজ বাদে কিছু ব্যবহার করতে চান না। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে হাতের কাছে পাওয়া নানা জিনিস এবং কম খরচেও অনেক ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠা যায়। তাই পয়সা খরচ করে নয় মাথা খাটিয়ে ফ্যাশনেবল হয়ে উঠুন। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক ছেলেদের ফ্যাশনের জরুরী কিছু বিষয়।

সাগর-মায়সা
মডেলঃ সাগর , মায়সা।

– পোশাকআশাক দামি নয় পরিপাটি হওয়া প্রয়োজন। আপনি অনেক দাম দিয়ে পোশাক কিনেছেন ঠিকই কিন্তু যত্নের অভাবে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে অথবা রঙ বেরঙ হয়ে গিয়েছে এমন পোশাক দিয়ে তো কোনো কাজ নেই। পোশাক একটু কম দামি হলেও যদি পরিপাটি করে রাখেন তবে আপনাকে দেখতে বেসশ ভালো লাগবে।

– চুলের কাটের ব্যাপারে সতর্ক হোন। আপনাকে যে চুলের কাটে মানায় সেই ধরণের কাট দিন চুলে একটু পয়সা খরচ করে হলেও। একটি মানানসই চুলের কাট আপনাকে অনেকাংশে ফ্যাশনেবল করে তুলবে।

– চুলের পাশাপাশি দাঁড়ির দিকেও নজর করবেন। অনেককে একেবারে ক্লিন শেভে ভালো দেখালেও প্রত্যেককে ভালো দেখায় না। আপনার মুখে যদি দাঁড়ি গোঁফ মানায় তবে সেই অনুযায়ী দাঁড়ি গোঁফ রাখুন। এতে করে আপনি হয়ে উঠতে পারেন ফ্যাশনেবল।

– মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা একটু বেশিই ঘেমে থাকেন। এবং ছেলেরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরেই কাটান তাই অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন নিজের পারফিউমের দিকে। বাসা থেকে বেরুনোর সময় বডি স্প্রে বা বডি রোল অন অথবা পারফিউম লাগাতে ভুলবেন না। তবে অতিরিক্ত পারফিউম ব্যবহার করবেন না একেবারেই।

– নানা এক্সেসরিজ যেমন ঘড়ি, সানগ্লাস, রুমাল ইত্যাদি ব্যবহার করুন। সাথে রাখুন স্টাইলিশ মানিব্যাগ। যারা কর্মজীবী মানুষ তারা সাথে রাখতে পারেন ভালো, মানানসই এবং সুন্দর ডিজাইনের সাইডব্যাগ (অফিসব্যাগ)।

– জুতোর দিকে অবশ্যই নজর দিন। কোথায় বলে একজন মানুষকে চেনা যায় তার জুতো দিয়ে। জুতো সব সময় পরিষ্কার রাখুন। অপরিষ্কার জুতো পড়বেন না। জুতো মলিন হয়ে এলে ভালো করে পলিশ করে নিন।

– একই স্টাইল বেশীদিন ধারণ করবেন না। মাঝে মাঝে স্টাইল পরিবর্তন করুন। পোশাক আশাকের ধরণে, চুলের কাটে এবং দাঁড়ি গোঁফের কাটে পরিবর্তন আনুন মাঝে মাঝেই। এতে করে আপনাকে অনেকটাই ফ্যাশনেবল লাগবে এবং আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন আপনাকে কোন পোশাকে, কোন ছাঁটের চুলে ভালো লাগে।

কম উচ্চতার মেয়েরাও হতে পারেন আকর্ষণীয় ফ্যাশনের অধিকারী। আর তাদের ফ্যাশনেরও বহু সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এসব বিষয় ঠিকঠাক জানেন না। তাই তারা ঠিকঠাক কাজেও লাগাতে পারেন না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে একটি প্রতিবেদনে শর্ট হাইট মেয়েদের ফ্যাশন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নিয়ে একটি আলোচনায় অনেকগুলি তথ্য উঠে এসেছিল।

১. অনেকেই উঁচু হিল জুতো পরে স্টাইল করতে পছন্দ করেন। যদিও বিষয়টি সব সময় যে প্রয়োজনীয়, তা নয়। আপনার উঁচু জুতোর প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনে বেরিয়ে আসতে পারেন। মাঝারি উঁচু জুতো কিংবা ফ্ল্যাট জুতোও অনেক কম লম্বা মেয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পায়ের আরাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২. থাই হাই বুট বা উঁচু জুতো সব সময় যে আপনার জন্য কাজ হবে এমনটা নয়। এ ক্ষেত্রে হিডেন হিল সহ হাই বুট হতে পারে একটি ভালো সমাধান।

৩. বহু কাপড় বা বেশভূষা অতিরিক্ত বড় দেখা যায়? নিজের পছন্দের কাপড় পান না? কিডস সেকশনের বড় পোশাকগুলো খুঁজে দেখুন।

৪. অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার কি আপনাকে মাঝে মাঝে বিরক্ত করে? এ ক্ষেত্রে বাড়তি অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার বাদ দিন। জুয়েলারি যেন আপনাকে মাত্রাতিরিক্ত ঢেকে না রাখে, সেদিকে নজর দিন।

৫. ম্যাক্সি, স্কার্ট ও অন্যান্য ড্রেসগুলো আপনার ভীতির কারণ? এ ক্ষেত্রে হলিউডের অভিনেত্রী সালমা হায়েক কিংবা ইভা লঙ্গোরিয়াকে অনুসরণ করুন। এমনিতেও ওল্ড ফ্যাশন বলে কিছু নেই। কারন কিছু ক্ষেত্রে ওল্ড ফ্যাশনেই আপনি আইকন হয়ে যেতে পারেন। রেট্রো লুকটা অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের।

৬. ফ্যাশন মানেই সব ঋতুর দিকেই আপনাকে নজর দিতে হবে। বড় আকারের টি-শার্ট ও সোয়েটার আপনার জন্য সমস্যার? এ ক্ষেত্রে বড় সাইজের বদলে রেগুলারই সঠিক মাপের নিতে হবে। এ ছাড়া বড় টপের সঙ্গে স্লিক লেগিংস ও হিল পরা যেতে পারে।

 

পথে প্রবাসে/সামিয়া ইসলাম।

 

You might also like

Leave a Reply

শিরোনাম