যানজট নিরসনে নতুন কৌশল আবিষ্কার !

যানজটের কারণে নগরবাসীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে কখনও কখনও ২ ঘণ্টা সময় চলে যায়। নগর জীবনের এমন এক পরিস্থিতিতে যানজট নিরসনে নতুন কৌশল আবিষ্কার করলেন প্রকৌশলী কামরুল হাসান।

traffic2

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলী কামরুল হাসান সম্প্রতি যানজট নিরসনের আবিষ্কৃত এই বিশেষ কৌশল ইতিমধ্যে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই পদ্ধতিতে একাধিক রাস্তার সংযোগস্থল কিংবা ইন্টার-সেকশনে কিছুটা পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার ক্রসিংয়ে কাছাকাছি সড়কের ভেতরে বিশেষ এক ধরনের (নিচের ছবিটিতে দেখানো হয়েছে) ইউ-টার্ন স্থাপন করতে হবে। এতেকরে সড়কে আর সিগন্যালের প্রযোজন পড়বে না। যে কারণে সিনগ্যাল বাতি কিংবা ট্রাফিক পুলিশও লাগবে না।

engineer-kamrul-hasan

প্রকৌশলী কামরুল হাসানের গবেষণা অনুযায়ী সংযোগস্থল কিংবা ইন্টার-সেকশনে পরিবর্তন করলেই হলো। প্রকৌশলী কামরুল হাসানের গবেষণা বলছে, শাহবাগের চার রাস্তার ইন্টার-সেকশনের ক্ষেত্রে সুবিধা মতো উত্তর-দক্ষিণ অথবা পূর্ব-পশ্চিম-এর যেকোনো একটি সড়ক দিয়ে সরাসরি গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সরাসরি চলাচল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত সড়কে স্থায়ী ডিভাইডার স্থাপন করতে হবে। আবার যারা সরাসরি যেতে পারবে না, যেমন লোকাল গাড়ি- তাদের জন্য প্রতিটি সড়কে অভ্যন্তরীণ ইউ-টার্ন থাকবে। এই ইউ-টার্ন ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত দিকে যাওয়া যাবে। বলা হয়েছে, প্রকৌশলের ভাষায় ইন্টার-সেকশন বন্ধ করা হলে, শুধু ডানে মোড় নেওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই ইন্টার-সেকশনের কাছাকাছি মূলত ডানে মোড় নেওয়ার জন্যই এই অভ্যন্তরীণ ইউ-টার্ন ব্যবহার করা হবে।

381-janaojana-600x330

প্রকৌশলী কামরুল হাসানের গবেষণা অনুযায়ী বলা হয়েছে- ধরা যাক, শাহবাগ মোড় দিয়ে উত্তর-দক্ষিণের (বাংলামটর – টিএসসি) সড়ক দিয়ে সরাসরি গাড়ি চলাচল করবে। ডিভাইডারের কারণে পূর্ব-পশ্চিমের (মৎস্য ভবন হতে কাঁটাবন) গাড়ি সরাসরি চলতে পারবে না। বাংলামটর হতে আসা গাড়ি টিএসসি গেলে সরাসরি ও সড়কে সোজা চলে যাবে। আবার মৎস্য ভবন যেতে চাইলে বাঁয়ে মোড় নিয়ে চলে যাবে। তবে কাঁটাবন যেতে চাইলে শাহবাগ মোড় দিয়ে সরাসরি সড়ক অতিক্রম করে টিএসসির দিকে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ইউ-টার্ন ব্যবহার করে ডানে মোড় নিয়ে তবেই যেতে হবে। একইভাবে টিএসসি থেকে আসা গাড়ি বাংলামটরে সরাসরি, কাঁটাবনে বাঁয়ে মোড় নিয়ে ও মৎস্য ভবনের দিকে যেতে চাইলে অবশ্যই শাহবাগ ইন্টার-সেকশন অতিক্রম করে কিছুটা বাংলামটরের দিকে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ইউ-টার্ন নিয়ে তবেই ডানে ঘুরে যেতে হবে। আর সরাসরি যেতে না পারায় পূর্ব-পশ্চিমের (মৎস্য ভবন হতে কাঁটাবন) গাড়ি যার যার সড়কে বাঁয়ে মোড় নিয়ে উত্তর-দক্ষিণের সড়কে সরাসরি প্রবেশ করে ইউ-টার্ন ব্যবহার করে গাড়ি ঘোরাতে পারবেন। যেমন- মৎস্য ভবন থেকে আসা গাড়ি বাঁয়ে মোড় নিয়ে টিএসসির দিকে ইউ-টার্নের মাধ্যমে ঘুরে সরাসরি রাস্তার বাঁয়ের লেনে ঢুকে কাঁটাবন এবং সোজা গিয়ে বাংলামটরের দিকেও যেতে পারবে। একইভাবে কাঁটাবনের গাড়ি বাঁয়ের লেনে ঢুকে ইউ-টার্ন দিয়ে ঘুরে টিএসসি অথবা মৎস্য ভবনের দিকেও যেতে পারবে।

প্রকৌশলী কামরুল হাসানের মনে করেন, তিন সড়কের ইন্টার-সেকশনে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা আরও সহজ হবে। এই পদ্ধতিতে শুধু ঢাকা শহর নয়, যেকোনো এলাকার যানজট নিরসন করা সম্ভব হবে। সড়কের ভেতরে ইউ-টার্ন করতে সড়কের জন্য শুধু কিছুটা বাড়তি জায়গা প্রয়োজন হবে। সরকার চাইলে বাড়তি জায়গার ব্যবস্থা করা কোনো কঠিন কিছু নয়।

যানজট নিরসনে প্রকৌলশী কামরুল হাসানের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিটি ‘রিলিজ ফ্রম ট্রাফিক জ্যাম: নো ভেহিকল হেজ টু স্টপ ফর এ সেকেন্ড’ শিরোনামে ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সায়েন্টিফিক এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ তাদের চলতি বছরের আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশ করেছে। এর আগে এটি ছাপা হয়েছিল বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের জার্নালে।

১০ বছরে বিশেষজ্ঞ নন এমন ৫ জন নাগরিক যানজট নিরসনে আলাদা তত্ত্ব দিয়েছেন। কয়েক বছর আগে ট্যাক্সিচালক মোহাম্মদ আলীর যানজট নিরসন পদ্ধতি প্রয়োগ করে সুফলও পাওয়া গেছে। স্থায়ীভাবে যানজট নিরসনে কোনো পদ্ধতিই আজ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো। অথচ যানজট আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা।

পথে প্রবাসে/সামিয়া ইসলাম

তিন দিনের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলা

তিন দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ডিজিটালবিষয়ক নতুনত্ব ও অভিনত্ব বিষয়ে ধারণা ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে এই মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এবং এটুআই কর্মসূচি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
বিস্তারিত…

নোট ৭ তৈরির ইতি টানল স্যামসাং

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোন আর তৈরি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়  প্রতিষ্ঠানটি এই ফোন বিক্রি ও বদলে দেওয়াও পুরোপুরিভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

মঙ্গলবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়- ‘স্যামসাং তার গ্যালাক্সি নোট ৭-এর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার খবরটি আমরা নিশ্চিৎ করছি।’ মূলত এই ঘোষণার ফলে প্রযুক্তিবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্যের শ্রেণিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক উপহারের অকালমৃত্যু ঘটল।

স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাটারি থেকে আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত এবং মান নিয়ন্ত্রণ করে আমরা উৎপাদন পরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস করেছিলাম। তবে আমাদের কাছে গ্রাহকের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। আর তাই গ্যালাক্সি নোট ৭ আর তৈরি না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধের পাশাপাশি এই ফোন বিক্রি ও বদলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গ্রাহকদের নানা আশ্বাস দিয়ে আবারও আগের নোট ৭ হ্যান্ডসেটগুলো বদলে বাজারে “পুরোপুরি নিরাপদ” নোট ৭-এর চালান দেয় স্যামসাং। সেই বদলে দেওয়া এই হ্যান্ডসেটেও দেখা যায় একই বিপত্তি। এবার আগুন ধরে প্লেনে থাকা “পুরোপুরি নিরাপদ” এক নোট ৭-এই, প্লেনের যাত্রা পিছিয়ে যায়। বড় বড় এয়ারলাইনে নোট ৭ নিষেধাজ্ঞার পুনরাবৃত্তিও বাদ যায় না। একে একে বড় একাধিক টেলিযোগাযোগ অপারেটরও এই হ্যান্ডসেটগুলো বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এমনকি ভিডিও গেইম জিটিএ ৫-এও এই হ্যান্ডসেট-কে বোমা হিসেবে দেখিয়েও করা হয় তামাশা।

গ্রাহকদের উদ্দেশে স্যামসাং বলেছে, “যাদের কাছে গ্যালাক্সি নোট ৭ এর আসল কিংবা বদলে দেওয়া ফোন রয়েছে, তাদেরকে সেগুলো বন্ধ রাখতে এবং ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।” ওই বিবৃতির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে এটিঅ্যান্ডটি ও টি-মোবাইল গ্যালাক্সি নোট সিরিজের এ ফোন বিক্রি কিংবা বদলে দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্যেও বদলে দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয় ভোডাফোন ও ইই- এর পক্ষ থেকে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার দিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লেনদেনের হিসাবে দেখা যায় বিনিয়োগকারীরা ১৪.৭ ট্রিলিয়ন ইউরো ওন সরিয়ে নেওয়ার পর স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স-এর বাজারমূল্য সাত শতাংশের মতো কমে গেছে।

১০ অক্টোবর এক ধাক্কায় অ্যাপলের শেয়ার মূল্য ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।  স্যামসাংয়ের দুর্ভাগ্যেই অ্যাপলের শেয়ার মূল্য দ্রুত বাড়তে দেখা গেছে বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা।

“আমার বিশ্বাস নোট ৭ সংক্রান্ত ঘটনাটি অ্যাপলের শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করবে”- এমনটাই মত ক্রেডিট সুইস-এর বিশ্লেষক কুলবিন্দার গারচা-এর।

আইডিসি-এর তথ্যমতে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের মোট শেয়ার ২৩ শতাংশ। এর পরেই ১২ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অ্যাপল।

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।

ডট বাংলা ডোমেইনের বরাদ্দ পেতে বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো

ইন্টারনেট জগতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডোমেইন (ইন্টারন্যাশনালাইজড ডোমেইন নেম-আইডিএন) ডট বাংলা (.বাংলা) ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেট কর্পোরেশন অব এ্যাসাইন্ড নেমস এ্যান্ড নাম্বার’ (আইসিএএনএন)- বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে এটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ইন্টারনেটে একটি রাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে এই ডোমেইন। এটি বাংলা ভাষায় ওয়েব ঠিকানা বোঝাতে পারবে। তবে এর আগে ২০১২ সালেও এই ডোমেনটি ব্যবহারের অনুমতি পেলে পরে তা সক্রিয় করতে পারেনি বাংলাদেশ।বিস্তারিত…

ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার লাইট

আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছার জন্য সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক যুক্ত করছে আরেকটি নতুন অ্যাপ। ম্যাসেঞ্জার লাইট নামে এই অ্যাপটি কাজ করবে সেসব অঞ্চলে যেখানে খুবই ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।

প্রথমে এটা কাজ করবে কেনিয়া, তিউনেসিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা ও ভেনেজুয়েলাতে। সামনের মাসগুলোতে আরও কয়েকটা দেশে এ সুবিধা দেবে ফেসবুক।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাসহ পশ্চিমা দুনিয়ার বাজার বেশ ভালো করেই দখল করেছে ফেসবুক। এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভালো করে দৃষ্টি ফেলছে এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। আগের অ্যাপটি বাদ দিয়ে ফেসবুক যখন ম্যাসেঞ্জারে গেলো তখন পুরনো অনেক সুযোগ সুবিধাই বাদ গিয়েছিল। মূল অ্যাপটির চেয়ে ম্যাসেঞ্জারে কম সক্ষমতাই রয়েছে।

অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা নতুন অ্যাপ দিয়ে আগের সব সুবিধাই পাবেন যেমন-টেক্সট মেসেজ পাঠানো, ছবি বা লিংক পাঠানো ইত্যাদি। কিন্তু ভিডিও বা ভয়েস কল বা লেনদেন করতে পারবেন না।

ম্যাসেঞ্জারের প্রধান ডেভিড মার্কিউস একটি সাক্ষাতকারে সম্প্রতি বলেন-‘আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে মেসেঞ্জার আসলে সবার জন্য।’

এদিকে ফেসবুক ও ফ্রি বেসিকস্ নামে একটি সেবা চালু করছে প্রায় ৩৬ টি দেশে। ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগবিশিষ্ট্য সেসব এলাকাতে এই সুবিধার মাধ্যমে ফেসবুকে যুক্ত থাকা যাবে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী নিয়মিতই এটা বলে থাকেন যে তার কোম্পানির মিশন হচ্ছে বিশ্বের সবাইকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত করা।

সূত্র : রয়টার্স।

ইনবক্সে আসা লিংক থেকে সাবধান, ছড়াচ্ছে ভাইরাস!

আপনার ফেসবুকের ইনবক্সে যদি নতুন কোনো ভিডিও লিংক কিংবা কোনো মেসেজ এসে থাকে, তবে অযথা ক্লিক করা থেকে সাবধান হোন। আর যদি আপনি মেসেজ দেখার আহ্বানে প্রলুব্ধ হলেন তো সর্বনাশ করে বসলেন। কারণ আপনার একটি ক্লিকেই আপনার সকল বন্ধুর কাছে অযাচিত মেসেজ চলে যেতে পারে।

ফেসবুক ইনবাক্সে আসা এসব মেসেজ কিংবা ভিডিওতে দেখার মতো আসলে কিছুই নেই। বরং সেটি ম্যালওয়্যার। যার মাধ্যমে দুর্বৃত্ত চক্র আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেবে, এমনকি হাতিয়ে নেবে আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষিত অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদিও। আপনার ফেসবুক থেকে বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্টে অযাচিত মেজেসও যেতে পারে।

সম্প্রতি এই অপতৎপরতা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক দক্ষ লোকও এই ম্যালওয়্যারের সর্বনাশে পড়ছেন একেবারেই অসচেতনতার কারণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বৃত্ত চক্র ম্যালওয়্যার ছড়ানোর ক্ষেত্রে চটকদার বা চিত্তাকর্ষক ছবি কিংবা ভিডিও ফুটেজের লোভ দেখাচ্ছে। তাদের ফাঁদের লিংকে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারী নিজের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন, একইসঙ্গে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদেরও শঙ্কায় ফেলে দিচ্ছেন।

ইনবক্সের পাশাপাশি এ ধরনের ম্যালওয়্যারের লিংক ট্যাগও করা হয়। এই ট্যাগ করা হয় আবার একসঙ্গে অনেককে, যাতে ব্যবহারকারীর বিশ্বস্ততা অর্জন সহজ হয়।

এখন উপায়? এজন্য প্রথমেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ অপশন থেকে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করে দিতে হবে।

সূত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন।

আইফোন ৭ কিনলে হারাতে হবে চাকরি: চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের নোটিশ

চীনের ক্রেতাদের জন্য কর্মজীবনে উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে একটি নতুন আইফোন ৭।

চীনের হেনান প্রদেশের একটি ঔষধ প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, কেউ যদি আইফোন ৭ ক্রয় করে তাহলে তাকে চাকরি হারাতে হবে।

নানিয়াং ইয়ংক্যাং মেডিসিন কোম্পানি নামে এই প্রতিষ্ঠানটি একটি নোটিশ জারি করে কর্মীদেরকে আইফোনের নতুন মডেলটি কিনতে নিষেধ করে বলছে, “আপনি যদি এই আইন ভঙ্গ করেন তাহলে আপনি অফিসে আসতে পারেন শুধুমাত্র আপনার অব্যাহতি পত্র জমা দিতে”।

অবশ্য এই নোটিশে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিদেশী পণ্য বর্জনের কথাও বলা হয়।

নোটিশটি চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ওয়েইবোতে ব্যাপক হারে শেয়ার হচ্ছে যেখানে অনেকেই হ্যাশট্যাগ হিসেবে লিখছেন ‘আইফোন ৭ কিনে চাকরি হারাচ্ছেন কর্মীরা’।

কোন কোন ওয়েইবো ব্যবহারকারী অবশ্য লিখছেন, আইফোন ৭ না কেনার সিদ্ধান্তও চীনের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে, কারণ অ্যাপলের পণ্যসমূহ চীনের ফক্সকন নামের প্রতিষ্ঠানের কারখানাতেই তৈরি হয়।

বিবিবিদু নামে এই ওয়েইবো ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে ফক্সকনের হাজার হাজার শ্রমিক চাকরি হারাতে পারেন”।

চীনা ভাষায় লেখা সেই নোটিশের একটি কপিওয়েইবোতে ছড়িয়ে পড়া চীনা ভাষায় লেখা সেই নোটিশের একটি কপি।

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই নোটিশের ফলে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।

“দেশপ্রেমের নাম করে কিভাবে আপনি এটা করতে পারেন?” প্রশ্ন তুলেছেন আয়াক্স নিউয়িসি নামের এই ব্যবহারকারী।

অবশ্য এই নোটিশের সমর্থকেরাও আছেন।

কিংটং হু লিখেছেন, “সব সরকারী কর্মচারীদের বেলায় যদি এমন এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেত তাহলে আমাদের দেশীয় ফোনের বিক্রি বেড়ে যেত”।

এদিকে, নানিয়াং ইয়ংক্যাং মেডিসিন কোম্পানির এই সিদ্ধান্ত এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও অনুসরণ করছে বলে যানা যাচ্ছে।

এগুলোর মধ্যে হেনান প্রদেশেরই আরো একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেটির নাম এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানটিও নোটিশ দিয়ে বলেছে, ‘যার কাছেই আইফোন ৭ পাওয়া যাবে তাকে চাকরি হারাতে হবে’।

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা।

স্মার্ট সানগ্লাস আনছে স্ন্যাপচ্যাট

মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট প্রথমবারের মতো বাজারে আনতে যাচ্ছে তাদের নিজস্ব একটি গেজেট। স্পেকটিকলস নামে এই গেজেট মূলত একটি সানগ্লাস, যেখানে থাকবে বিল্ট-ইন ক্যামেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে এই খবর।

স্পেকটিকলসের দাম রাখা হচ্ছে ১৩০ মার্কিন ডলার। এই স্মার্ট গ্লাসটি একনাগাড়ে ৩০ সেকেন্ড ভিডিও করতে সক্ষম। অন্যদিকে স্ন্যাপচ্যাট তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখছে স্ন্যাপ ইনকরপোরেটেড।

তরুণদের মাঝে ভীষণ জনপ্রিয় অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের এই পদক্ষেপ দেখে নিশ্চিতভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শুধু অ্যাপের ভেতরেই আর তারা আটকে থাকতে চায় না।

স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইভান স্পিগেল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত শুক্রবার স্পেকটিকলস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানান।

বিস্তারিত…

বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা কতটা রয়েছে?

গ্রাহকেরা সব সময় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় থাকেন.

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা এই খাতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তার পরিস্থিতি কেমন?

বাংলাদেশের প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সংগঠন, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বিবিসির মীর সাব্বিরকে বলছিলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বাড়লেও, একইভাবে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।

সে কারণে গ্রাহকেরা সব সময় অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় থাকেন।

এই মূহুর্তে বাংলাদেশে ৫৭টি ব্যাংক ও ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন

কিন্তু নিরাপত্তা ঘাটতির কারণেই বিভিন্ন সময়ে এটিএম কার্ড নকল এবং গ্রাহকের তথ্য হ্যাকিংয়ের মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ঘটা ঘটনাগুলোতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তত বেশি নয় বলে জানান মি. সরকার।

এখন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনাই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। ব্যাংকগুলোকে এখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেবার মান আরো বাড়াতে হবে।

একই সঙ্গে গ্রাহকদের মধ্যেও ইলেকট্রনিক লেনদেনের ব্যপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে, সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

ঢাকায় আজ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাংকসমূহ এবং বিশেষজ্ঞদের একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এবং সিটিও ফোরামের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অনলাইন নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকেরা।

ভিনগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ডেকে আনবে সর্বনাশ

যখনই মহাবিশ্ব, মহাকাশ বা সৌরজগতের কথা আসে, ভিনগ্রহের প্রাণীদের কথা আসে, তখনই দুনিয়া তাকিয়ে থাকে হুইলচেয়ারবন্দি, পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক বিজ্ঞানীর দিকে। তিনি স্টিফেন হকিং। এই ব্রিটিশ জ্যোতিপদার্থবিদ কি বলেন সেদিকে কৌতূহলী নজর সবার। সাধারণ আমজনতা থেকে শুরু করে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী— সবার। এবার হকিং দুনিয়াবাসীকে ভিনগ্রহের প্রাণীদের ব্যাপারে আবারও সতর্ক করলেন।

হকিংয়ের মতে, ভিনগ্রহের প্রাণীদেরকে যদি আমরা নিজেদের অবস্থান জানান দিই, তাহলে মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলের আশঙ্কাই বেশি। বিশেষ করে যদি তারা হয় পৃথিবীবাসীদের চেয়ে প্রাযুক্তিকভাবে অনেক বেশি অগ্রসর।

অর্বুদ কোটি মাইল দূরবর্তী কোনো গ্রহ থেকে যদি উন্নততর প্রাণীরা পৃথিবীতে কোনো সঙ্কেত পাঠায়ই, সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে সাড়া না দেওয়া; নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে জানান না দেওয়্। সঙ্কেত পেয়ে সাড়া দিয়ে ফেললে কি হবে? এ প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন হকিং। তার মতে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রথম যোগাযোগের ফলটা হবে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়কর। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের ফলটা যেরকম বিপর্যয়কর হয়েছিল আদিবাসী আমেরিকানদের জন্য।

বিস্তারিত…

শিরোনাম