৬০০ কোটি টাকা অতিক্রম করল ডিএসই’র গড় লেনদেন

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক গড় লেনদেন ৬০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সার্বিক মূল্য সূচক।ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। এসময় ডিএসইতে ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ ৬২ হাজার ১৯৯টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

ডিএসইতে গত ৫ কার্যদিবসে ৩ হাজার ৯০ কোটি ৬৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৪৭ কোটি ২২ লাখ ৩ হাজার ৫৪৪ টাকা । সে হিসাবে সার্বিক লেনদেন বেড়েছে ৪.৮৭ শতাংশ।

এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৪.৮৭ শতাংশ।

মোট লেনদেনের ৮৯.১৯ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৮৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৭.৭৯ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২.১২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২১.৪১ পয়েন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৯৮.৫৪ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছিল ৪.২৬ পয়েন্ট। এদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসই’র শরিয়াহ্ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস ০.২২ পয়েন্ট বেড়ে ১১২২.৭০ পয়েন্টে স্থিতি পায়। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ০.৩০ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৫৮.৪৬ পয়েন্টে স্থিতি পায়।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ০.০২ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস। ‘এ’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ১২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ডিএসই’র সর্বমোট লেনদেনের ৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ব্স্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাশা ডেনিমস। কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। ৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যে দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্কয়ার ফার্মা।

এছাড়াও টার্নওভার তালিকায় থাকা কাশেম ড্রাইসেলের ৭৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ন্যাশনাল টিউবসের ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, ডোরিন পাওয়ারের ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৬৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

পথে প্রবাসে/সামিয়া ইসলাম।

You might also like

Leave a Reply

শিরোনাম